অবসরে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন?

টুয়েন্টিফোর টিভি
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২১ আগস্ট ২৮, ০৫:২৮ অপরাহ্ন

শিগগিরই অবসরে পাঠানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনকে। ১৯৯৮ সাল থেকে মহাকাশে কাজ করছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। অনেক বয়স হয়েছে এই স্টেশনের। ২০০০ সাল থেকে আইএসএস পৃথিবীর ১৯টি দেশের অনেক নভোচারীর বাড়িই বলা চলে। এই স্টেশনে মাইক্রোগ্র্যাভিটি গবেষণার জন্য একটি গবেষণাগার আছে। এখানে বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা হয়, পানি বিশুদ্ধ করাসহ ক্যানসারের মতো রোগের চিকিৎসা নিয়েও গবেষণা হয়।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহাকাশে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে এই চুক্তিই হয়েছে নাসার। নাসার কমার্শিয়াল লো আর্থ অরবিট প্রোগ্রাম অফিসের ম্যানেজার অ্যাঙ্গেলা হার্ট জানান, এখানে যেহেতু সবসময় বিজ্ঞান আর গবেষণানির্ভর কাজ করা হয়, আইএসএস এরও নির্দিষ্ট সীমা আছে। কিন্তু আরেকটা মহাকাশ স্টেশন বানানোর কোনো পরিকল্পনাই নেই নাসার। উল্টো অন্য কোম্পানিগুলোর প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করতে চায় নাসা। কলোরাডোর সিয়েরা স্পেস, হাস্টনের এক্সিয়ম স্পেসের মতো যারা বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশন তৈরি করতে চাচ্ছে, তাদের ওপরই নির্ভর করতে চায় নাসা।

এরই মধ্যে নিজস্ব স্পেস স্টেশন তিয়াংগং স্পেস স্টেশন তৈরি করছে চীন। রাশিয়াও প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০৩০ সালে মহাকাশে বাণিজ্যিক স্পেস স্টেশন কার্যক্রম চালাবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্তত ৫৫৩ নভোচারীর বাসা এই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। এখন প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে আছে আইএসএস। গত কয়েক বছর ধরেই অনেক কাজের জন্য বাণিজ্যিক কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল। এ লক্ষে প্রকল্প হাতে নিয়েছে নাসা। ৪টি কোম্পানিকে ৪০ কোটি ডলার দেবে নাসা যেন মহাকাশে স্পেস স্টেশন তৈরি করতে পারেন তারা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্পেশন তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১৫ হাজার কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও এতে অর্থায়ন করেছে রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান আর কানাডা। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পরিচালনা করতে নাসার প্রতিবছর ৪০০ কোটি ডলার খরচ হয়।

গত বছর স্পেস এক্স প্রথম বেসরকারি মহাকাশ কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে। নাসার নভোচারীদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়ে যায় স্পেস এক্সের মহাকাশযান। অ্যাঙ্গেলা হাট জানান, এখন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের দায়িত্ব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর ছেড়ে দিয়ে মঙ্গল আর চাঁদ নিয়ে গবেষণায় মনযোগ দিতে চায় নাসা।

পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে অবস্থিত এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। এদিকে বেসরকারিভাবে স্পেস স্টেশন তৈরিতে এগিয়ে গেছে চীন। মহাকাশে একটি ছোট শহরই তৈরি করে ফেলতে চায় চীন। চীনের তিয়াংগং স্পেস স্টেশন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের তুলনায় আকারে ৫ গুণ বড়। আমাজন আর ব্লু অরিজিনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসও মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে আগ্রহী।

 

প্রধান সম্পাদক : Arka Hossain

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয় :

Epic Ettehad Point [Level-4] 618 Nur Ahmed Road Chattogram-4000.

 Newsroom : +88 01703 930636
 E-mail : faguntelevision@gmail.com

Copyright © 2021 www.fagun.tv । ফাগুন টিভি
Design & Developed by Smart Framework